নাজনীন আমার গালফ্রেন্ড ছিল। বছর দুয়েক আগে আমাদের সম্পর্কে টানা পোড়েন দেখা দেয়ে। একপর্যায়ে আমরা রিলেশন ব্রেকআপ করি। এসময় সে আমাকে ‘গালি’ দেয়ে, তাই ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছি।
বুধবার (১৭ মার্চ) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ে নাজিম উদ্দিন পাশা। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের বালিঙ্গা গ্রামে নিজ বাড়িতে নাজনীন আক্তারকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন পাশা। এরপর সে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই নাজিমকে আটক করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শামসুল হক চৌধুরী নাজিমকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় বলেন, নিহত নাজনীনের সঙ্গে নাজিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই বছর আগে তাদের ব্রেকআপ হয়। এরপর নাজনীনের পেছনে ঘুরতে থাকে নাজিম। এ কারণে তাকে গালি দেয় নাজনীন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাজনীনকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে সে।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে নাজিম উদ্দিন পাশাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।